বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নির্মাণ শ্রমিক মিজান শেখকে হত্যার ঘটনায় তার মা নিহার বেগম (৫৫) বাদি হয়ে শুক্রবার (৪ আগস্ট) অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শৈলেন চাকমা এবং বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মিজান শেখ দুটি বিয়ে করেছিল। তার কোন সন্তান ছিল না এবং দুই স্ত্রীর সাথেই বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। সে রুপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেল থেকে মিজান নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তার খোঁজ করে সন্ধান পায়নি। পরে বৃহস্পতিবার ( ৩ আগস্ট) সন্ধ্যার পর রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের পিছনে রূপাপাত গ্রামের নিমাই কুলুর মেহগনি বাগানে তার মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মৃতদেহের শরীরে মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো ছিল এবং বুকে পিঠে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ডহরনগর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কবির হোসেন বলেন – খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো ছিল এবং বুকে পিঠে ধারাল অস্ত্রের কোপের ক্ষত রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে সে নিখোঁজ ছিল কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশকে কেউ কিছু জানায়নি। তবে যে বা যারা এই হত্যাকান্ড ঘটাকনা কেন পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবে। মামলা হয়েছে। তদন্ত ও আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।